একটি মেয়ের জীবনগাথা
রুপন নাথ
রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে সে,
চোখে স্বপ্ন, মনে উচ্ছ্বাস,
একটি ছেলের সঙ্গে গল্পে মেতে,
ভুলে গেছে সময়ের প্রবাহ।
পিঠে ব্যাগ, পড়ার দায় ভুলে,
ভালোবাসার মায়ায় বুঁদ,
হাতে ধরা ধোঁয়ার ললাটে
ভাসিয়ে দেয় উদাসীন সুর।
মনে হলো, এই মেয়েটি,
সংসারের কত স্নেহ-ভালোবাসায় গড়া!
মা-বাবার স্বপ্নের প্রদীপ,
তাদের শত কষ্টের ধ্রুবতারা।
তবু কেন এমন সিদ্ধান্ত,
উচ্চশিক্ষার পথ ছেড়ে
এক বেখেয়ালি ছেলের প্রেমে?
সত্যিই, বিধাতার লীলা অপরূপ!
চাইলাম তাকে বোঝাতে,
ভালোবাসা মানে তো শুধু নয় মোহ,
স্বপ্নগুলোকে ছুঁতে হলে
প্রেমেও চাই দায়িত্ববোধ।
কিন্তু সে বুঝল না কিছুই,
বরং রেগে উঠল অহেতুক,
পথভ্রষ্ট প্রেমের মরীচিকায়,
সে হারালো নিজেকে একদিন।
অবশেষে শুনলাম, তারা পালিয়ে বিয়ে করেছে,
সংসারের সব শেকল ছিঁড়ে,
মা-বাবার অশ্রু উপেক্ষা করে,
নিজস্ব দুঃখের আখ্যান গড়েছে।
রোজ রাতে নেশার ঘোরে,
ফিরত সে স্বামী নামক দানব,
চোখে তার ভালোবাসার নীল নেই,
শুধু বেদনার এক শুষ্ক মরুভূমি।
শেষে একদিন, অসহ্য বেদনায়,
মেয়েটি নিজেকেই নিঃশেষ করল,
আর ছেলেটিও, সমাজের ঘৃণায়,
জেলখানার অন্ধকারে বিলীন হল।
এক নিমেষে নিভে গেল দুটি প্রাণ,
স্বপ্নগুলো হারালো গতি,
প্রতিদিন একই গল্প গড়ে ওঠে,
কিন্তু কেউ নেয় না শপথ,
নিজেকে হারানো নয়,
জীবন গড়াই হোক প্রকৃত ভালোবাসা!